রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার ঘটনা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সহনশীল মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে হামলার কারণ হলো পারস্পরিক হিংসা ও বিদ্বেষ। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেমিনার, ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে বঙ্গবন্ধু ও ইতিহাস সম্বন্ধে সকলে জানতে পারবে এবং আমরা সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নিজেদের উন্নত করতে পারব।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ব্ক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি বক্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছিলেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর পরিচয়ে বাংলাদেশকে সারা বিশ্ব চিনবে।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সভাপতি ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম আতিকুর রহমান।
ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন, শহিদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী ও ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম হাসিব।