তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় বর্তমান সরকার বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো দখলমুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর। সেলক্ষ্যে পানি সম্পদ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সমন্বিতভাবে বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাচ্ছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের নদ-নদীগুলো বাঁচাতে হবে। তাই নদী তীরের এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে উপমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
দেশের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি ও আমরা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশের জলাবদ্ধ ও ভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন শুরু করেছি। আমরা এই বর্ষা মৌসুমে দেশবাসীকে জলাবদ্ধতা হতে মুক্ত করতে কাজ করছি। পাশাপাশি ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোও চিহ্নিত করে ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নিরলসভাবে আমরা কাজ করছি।’
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের এই উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে উপমন্ত্রী শামীম নদী রক্ষায় জনসচেতনতার ওপর গুরাত্বারোপ করেন এবং তিনি সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্মিলিতভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সারাদেশের নদ-নদী রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি সাংবাদিকদের এই প্রচেষ্টা আগামীদিনেও অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সহজেই এসব দখলদার ও দূষণকারীদের চিহ্নিত করতে পারি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এসব সংবাদের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার সাদাত, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. বাচ্চু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম আন্তর্জাতিক সম্পাদক মনির মুন্সি, জনকণ্ঠ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।