তিনি বলেন, যেকোনো সময় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু হবে।
মঙ্গলবার বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনার একদিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।
এ সময় তার সাথে পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বাঘাইছড়ির এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলাস্থলসহ আশেপাশে ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন।
পরিদর্শনকালে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন, পাহাড়ে ভৌগোলিক অবস্থার কারণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা অসম্ভব। তারপরেও যথেষ্ট নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বে সন্ত্রাসীদের এই ধরনের হামলা উদ্বেগজনক।
এরপর তারা বাঘাইছড়ি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ আহত রোগীদের দেখতে যান। জেলা প্রশাসন আহত সাতজনকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান ও লাশ দাফনের জন্য নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেন।
এ দিকে রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ির হত্যাকাণ্ডের একদিন পর মঙ্গলবার বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সকালে বিলাইছড়ি ফারুয়া এলাকার আলিক্ষিয়ংয়ে এই ঘটনা ঘটে। তিনি ফারুয়া ইউনিয়ন থেকে বোড যোগে বিলাইছড়িতে ফিরছিলেন। সকালে লাশ উদ্ধার করে রাঙ্গামাটিতে নিয়ে আসা হলে দুপুরে ময়নাতদন্তে শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।