বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পুরানো প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সভাপতি অলিউর রহমান সান বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক এই আন্দোলনে হামলা করা হয়েছে। এরপর হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেও এই আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি। শুধু দুর্নীতি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যে অচলাবস্থা সেজন্যই এই উপাচার্যের পদত্যাগ করা উচিৎ।’
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষার আন্দোলন। কিন্তু উপাচার্য ও তার প্রশাসন চায় না বিশ্ববিদ্যালয় ভালো চলুক। এজন্য প্রশাসন ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে আবারও সবাই আন্দোলনে আসবে। তাই সরকারের উচিৎ তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করে তা সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সচল করা।’
সমাপনী বক্তব্যে আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে যাচ্ছি। দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণও জমা দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ইউজিসি থেকে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। এতে সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি বোঝা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের ভয়ে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ করে দিয়েছে। তবুও আমাদের আন্দোলন থেমে যায়নি। এতো বাধার পরেও ন্যায়ের পক্ষে আমাদের এ সংগ্রাম চলছে ও চলবে।’
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন, জামাল উদ্দিন রুনু, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক তারেক রেজা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ প্রমুখ। এছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছে জাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ। প্রশাসন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি আদায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।