শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মনি সিংহ-ফরহাদ স্ট্রাস্ট ভবনে ঐক্য পরিষদের বর্ধিত সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সভায় জাননো হয়, সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে এক শ্রেণির নেতাকর্মী পুনরায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের অপকার্ম করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
ঐক্য পরিষদ অনতিবিলম্বে জড়িতদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে সরকারি দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।
তাদের মতে, ‘নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ করা না গেলে সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব অধিকতর হুমকির মুখে পড়বে।’
এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আগামী ২৫ মে সকাল ১০টায় সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে ঐক্য পরিষদ।
সেই সাথে ২০২০ সালের ১১ ও ১২ ডিসেম্বর ঐক্য পরিষদের একাদশ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত উত্থাপিত প্রতিবেদনের ওপরে ৬৪ সাংগঠনিক জেলার নেতাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনোত্তর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভাঙাগড়ার এ পর্যায়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, জায়গা-জমি দখল এবং মন্দির-উপাসনালয়ে বিগ্রহ ভাঙচুর সারাদেশে আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
সভায় দেশের তিন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, শাহরিয়ার কবির ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের প্রাণনাশে জঙ্গিবাদীদের হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং হুমকিদাতা ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন- সর্বশ্রী কাজল দেবনাথ, নির্মল রোজারিও, জে এল ভৌমিক, মঞ্জু ধর, মিলন কান্তি দত্ত, বাসুদেব ধর, মনীন্দ্র কুমার নাথ, তাপস কুমার পাল, নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, কিশোর মন্ডল, পদ্মাবতী দেবী, দিপংকর ঘোষ, অধ্যাপক অরুণ গোস্বামী, রাহুল বড়ুয়া, ব্যারিস্টার তাপস কুমার বল প্রমুখ।