রবিবার নিজ দপ্তরে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যায় জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায় করা।’
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের মার্চে সংসদে বিষয়টি আসার পর থেকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রাধিকারে এটি আছে। গত দুই বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী যে সব দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বৈঠক করেছেন সেখানে এটি তুলেছেন। বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি।
কিন্তু ৭৫ পরবর্তী সরকার বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত জোট গণহত্যা সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেনি, বরং তারা এসব তথ্য-উপাত্ত ধংস করেছে, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ১৯৭১ সালের ইতিহাসের বিপরীত দিকে ছিলেন অনেক শক্তিধর রাষ্ট্র। ইতিবাচক দিক হচ্ছে সেই রাষ্ট্রগুলো আমাদের সঙ্গে বৈঠকে স্বীকার করে নেন যে, তারা ভুল পক্ষ নিয়েছিলেন। জট খুলতে বা প্রকাশ্যে আনতে সময় লাগবে। তবে আমরা সঠিক পথেই আছি।
‘কূটনীতিকদের ব্যর্থতায় গণহত্যার স্বীকৃতি আসেনি’ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে তিনি বলেন, সবাইকে নিয়ম কানুন জানতে হবে। এটা তো একটা নতুন যাত্রা। হয়তো সময় আসবে আমরা জাতিসংঘে একটা নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করার চেষ্টা করতে পারি। এটা পাস হবে কি হবে না সেটা আপনারা ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশ আছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা হঠাৎ করে প্রস্তাব উত্থাপন করে যথেষ্ট সমর্থন না পাওয়ার চেয়ে এখন যেটা করছি সেটা আগামী কয়েক বছর করবো। যত বেশি সম্ভব সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এটার পক্ষে নেয়া।
‘সেই কাজগুলো করে যখন আমরা একটা পর্যায়ে পৌঁছাবো তখন আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা অবশ্যই চিন্তা করবো,’ যোগ করেন তিনি।
গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রে তথ্য–উপাত্তের ঘাটতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই ঘাটতি ছিল। যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে মোটাদাগে বলতে পারি।
‘গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য যে পরিমাণ তথ্য–উপাত্ত প্রয়োজন সেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অনেকগুলো সংগৃহীত হয়ে গেছে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ হচ্ছে, বাংলাদেশের গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি।’