সামাজিক দূরত্বের জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান বাসা ও অন্যান্য স্থান থেকে কার্যক্রম চলাচ্ছে সমন্বিত উপায়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ স্মার্ট অফিস ইকোসিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
ক্লাউড প্রযুক্তির উত্তরণের সময়ে সকল ধরনের স্মার্ট অফিস ইকোসিস্টেম তৈরিতে সম্পূর্ণ নতুন কার্যকরী সমাধানে হুয়াওয়ে আইডিয়াহাব তৈরি করেছে।
যা কনফারেন্স রুম ও অফিস স্পেস, এমনকি হোম অফিস রুমের মতো ভিন্ন পরিবেশে মোবাইল স্ট্যান্ডে বা দেয়ালে স্থাপনযোগ্য। বৈশ্বিক মহামারির সময় যোগাযোগ ও সহযোগিতামূলক কার্যক্রম সহজতর করার উদ্দেশ্যে এবং সম্মুখসারির কর্মীদের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখতে রিমোট কনফারেন্সিং ও টেলিমেডিসিনের মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে একই ধরনের পণ্য ও সমাধান ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া শিল্পখাতে ইন্টেলিজেন্ট ডিসপ্লে, ইন্টেলিজেন্ট হ্যান্ডরাইটিং রিকগনিশন, অ্যাকুস্টিক বাফল এবং স্পিকার ট্র্যাকিং এর মতো বহুমুখী অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে আইডিয়াহাব। এটি ক্লাউড ভিত্তিক ও স্থানভিত্তিক মিটিং পরিচালনায় সক্ষম ও এতে রয়েছে বিল্ট-ইন অ্যাপ গ্যালারি।
হুয়াওয়ে ইন্টেলিজেন্ট ভিশন ও ইন্টেলিজেন্ট কোলাবোরেশন টেকনিক্যাল সেলস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্যান ইয়ং প্রতিষ্ঠানটির অল-সিনারিও স্মার্ট অফিস কৌশল বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, নতুন ১+৩+x, ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্লাউডের যুগে নতুন কার্যকরী টুল, ডিভাইস-ক্লাউডের সমন্বয়, সকল ধরনের স্মার্ট অফিসে ব্যবহারযোগ্য সমাধান দিবে। ১ হচ্ছে হুয়াওয়ে ক্লাউডের একটি ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম। যা হুয়াওয়ে ক্লাউড মিটিং সার্ভিসের ওপর ভিত্তি করে ডিজিটালকরণ ও এন্টারপ্রাইজ নতুন করে গড়ে তোলার নির্দেশ করে। ৩ এর মাধ্যমে তিন ধরনের সমন্বিত ইন্টেলিজেন্ট এন্ডপয়েন্ট বোঝানো হয়। প্রথমটি হলো, ভিডিও কনফারেন্সিং এন্ডপয়েন্ট। এটি টানা সাত বছর ধরে চীনের বাজারে এক নম্বরে অবস্থান করছে এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলেও এ পণ্যের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে এর আধিপত্য বজায় রেখেছে। দ্বিতীয়টি হলো, সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া আইডিয়াহাব সিরিজ, যা দলগত কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তৃতীয়টি হলো, ইন্টেলিজেন্ট ডেক্সটপ সিরিজ, যা ভবিষ্যতে বাজারে পাওয়া যাবে। আর X এর মাধ্যমে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে উন্মুক্ত সহযোগিতা ও ইকোসিস্টেম নির্মাণ বোঝানো হয়।