পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে চাহিদা অনুযায়ী উত্তরপত্র না পাওয়ার কারণেই বিভাগগুলোতে এমন অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান তারা।
হাসিবুল ইসলাম প্রবাল নামের মার্কেটিং বিভগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমাদের মিডটার্ম পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে শুনতে পাই যে বিভাগে মিডটার্মের উত্তরপত্র নেই। পরবর্তীতে আমরা দোকান থেকে কাগজ কিনে পরীক্ষা দিয়েছি।’
উত্তরপত্র সংকটের কারণে নিয়মিত পরীক্ষাগুলো নিতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে আইসিটি বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের বুধবার একটি ব্যাচের মিডটার্ম পরীক্ষা ছিল। কিন্তু উত্তরপত্রের অভাবে পরীক্ষাটি নেয়া যায়নি। এমনিতেই আমাদের ক্লাসরুম সংকট, তার মধ্যে আবার নিয়মিত পরীক্ষাগুলো না নিতে পারায় সমস্যা আরও বাড়ছে।’
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নূরুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নতুন অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ উত্তরপত্র আমরা এখনও পাইনি। সাময়িক এ সমস্যা সমাধানের জন্য মিডটার্মের উত্তরপত্র আমরা নিজেরাই মুদ্রণ করে বিভাগগুলোতে সরবরাহ করি। তাদের চাহিদা অনুযায়ী উত্তরপত্র দিতে পারছি না। তবে, কোনো পরীক্ষা নিতে যেন সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ক্রয়কৃত উত্তরপত্র অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। নতুন অর্থ বছরের (২০১৯-২০) তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখনও ক্রয় করা হয়নি পরীক্ষার উত্তরপত্র। উত্তরপত্র ক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র সংকট রয়েছে। পরীক্ষার উত্তরপত্র ক্রয়ের আগের টেন্ডারে সমস্যা হওয়ায় পুনরায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি আগামী ২/৩ দিনের মধ্যেই দেয়া হবে। সাময়িক সমস্যা উত্তরণের জন্য প্রতি সপ্তাহে ২৫ হাজার করে উত্তরপত্র এনে তা বিভাগগুলোকে সরবরাহ করা হচ্ছে।’