কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে 'উইকেন্ড প্রোগ্রাম' কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হবে উল্লেখ করে গত ১৩ এবং ১৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ওই অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: আমজাদ হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই কোর্সে আবেদনের সময়সীমা চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সন্ধ্যাকালীন কোর্স বন্ধের ঘোষণা দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের জানান, ‘উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে সন্ধ্যাকালীন কোর্সে শিক্ষার্থী বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি আছেন তারা নিয়মানুযায়ী তাদের কোর্স সমাপ্ত করতে পারবেন। নতুন করে আর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হবে না।’
এদিকে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যাকালীন কোর্স বন্ধের ঘোষণা পর দিনের বেলায় উইকেন্ড কোর্স চালু করা নতুন মোড়কে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বলে মনে করছেন কুবির অনেক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: শাহাবুদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে বলা মানে আমার মনে হয় তিনি শুধু রাতের বেলা কোর্স বন্ধ করতে বলেছেন এমনটি নয়। আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধের প্রতিই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আর এখন নাম পাল্টে দিনের বেলায় একই কোর্স চালু রাখা পুরোনো পণ্যের মোড়ক পাল্টানো ছাড়া কিছুই নয়।
উইকেন্ড কোর্সের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন সরকার জানান, ‘আমরা সন্ধ্যাকালীন কোর্স বন্ধের কোনো অফিসিয়াল নোটিশ পাইনি। আর যে কোর্সের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে তা সন্ধ্যাকালীন কোর্স নয়, এটি উইকেন্ড প্রোগ্রাম। যেখানে শুধু শুক্র ও শনিবার দিনের বেলায় ক্লাস হবে।’
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন, ‘এর আগে উপাচার্য মহোদয় বলেছিলেন সন্ধ্যাকালীন কোর্স চলবে না। তবে এখন আবার নতুন করে যে উইকেন্ড কোর্স চালু হয়েছে সেটি আমার জানা নেই। উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’