৮ ও ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রায় ৬৮ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য লড়বেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সবার পরীক্ষা নেয়ার জায়গা না থাকায় পরীক্ষার্থীদের একটি বড় অংশকে কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে যাতায়াতের সময় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়।
অন্যদিকে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফলে বাস কিংবা ট্রেন থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে স্থানীয় সিএনজি, অটোরিকশা কিংবা লোকাল মাইক্রোবাসের ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এ সব যানবাহনে শিক্ষার্থীদের দ্বিগুন ভাড়া গুণতে হয়।
এ প্রসঙ্গে কুবির আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে যেখানে সাধারণ সময়ে ভাড়া ১০ টাকা সেখানে ৫০ টাকা দিতে হয়েছিল। নতুনদের অপরিচিত জায়গায় আসার সুযোগে স্থানীয় চালকেরা ভর্তি পরীক্ষার সময় অনেক বাড়তি ভাড়া নেন।’
শিক্ষার্থী শাহ জাহান মনির বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে আমি পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম তাই বাইরের হোটেলে খেতে হয়েছিল। খুবই নিম্নমানের খাবার খাওয়ানোর পর আমার থেকে অনেকটা জোরপূর্বক ১৫০ টাকা রাখা হয়েছিল।‘
এসব সমস্যার ব্যাপারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বরাবরের মতো এবারও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের নিজস্ব বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট সব কেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিযুক্ত থাকবে। প্রক্টরিয়াল টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ অন্য সব ইউনিটের সাথেই আমরা নিয়মিত মিটিং করছি। আশা করছি ভোগান্তি ছাড়াই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে।’
ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলার প্রস্তুতি সম্পর্কে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তিনটি বিষয়ের ওপর নজর দিয়েছি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের বিশেষ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ টিম থাকবে। কেউ যেন বেশি ভাড়া না নেয় সে ব্যাপারে আমাদের তরফ থেকে কঠোর নির্দেশনা থাকবে। পাশাপাশি আমাদের টহল টিম থাকবে। বাড়তি ভাড়া আদায় বা খাবারের উচ্চ মূল্য নেয়ার ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘যদি কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করে বা কোনো পরীক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’