স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালতুলী এলাকায়, চান্দিনা উপজেলা পরিষদের রাস্তার প্রবেশ মুখে ধানসিঁড়ি এলাকায়, বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকায় ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বালুজুরি এলাকায় মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসামে ভাটিয়াভিটা ও ছিলোনিয়া এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এসব স্থানে দাউদকান্দি, চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ও নিমসার বাজারের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, বেশি সমস্যার সৃষ্টি করছে লাকসাম এবং চান্দিনা পৌরসভার আবর্জনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাকসামে কোথাও রাস্তার পাশে আবর্জনা ফেলে খাল-ভরাট করা হচ্ছে। আবার কোথাও রাস্তার পিচের ওপর আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। তীব্র দুর্গন্ধে যাতায়াতকারীরা নাক চেপে পথ পার হচ্ছেন। রাস্তার পাশে আগুন লাগিয়ে আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলার কারণে মরে গেছে শতাধিক গাছ।
লাকসামের চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান, লাকসামে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আবর্জনার স্তুপ দিন দিন বাড়ছে। এতে সেখানকার পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠছে। মানুষ আবর্জনা আড়ালে ফেলে, কিন্তু লাকসামে মহাসড়কের ওপরে ফেলা হচ্ছে। পৌরসভার উচিৎ নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা।
এ বিষয়ে লাকসাম পৌরসভার প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আবর্জনা ফেলার জন্য আমরা একটি জমি নিয়েছি। সেটি আবর্জনা ফেলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানটি ঠিক হয়ে গেলে আর মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা হবে না।
চান্দিনা পৌরসভার প্রকৌশলী মো. শাহিনসার হোসেন বলেন, চান্দিনা পৌরসভার আবর্জনা ফেলার একটি স্থান রয়েছে। তবে মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলার বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন পৌর সচিব।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, মহাসড়ক জাতীয় সম্পদ। এর সৌন্দর্য রক্ষায় সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন। মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলতে বাজার কমিটি ও পৌরসভাকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। আমরা এই বিষয়ে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব।