এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয়জন।
পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জামের প্রতি বিশেষ নজর দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন খুলনার নেতারা।
খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খুলনায় ১৬১, যশোরে ১৮২, ঝিনাইদহে ৮১, নড়াইলে ৮৮, কুষ্টিয়ায় ১০৫, চুয়াডাঙ্গায় ৬৩, মাগুরায় ৬৫, সাতক্ষীরায় ৮৮, মেহেরপুরে ৩৫ ও বাগেরহাটে ৯৭ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
খুলনায় ১৬১ জনের মধ্যে ৩৭ জন কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন। বাকি ১২৪ জন নার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালেই আক্রান্ত হন ৩৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
খুমেক হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (এনেস্থেশিয়া বিভাগ) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার খুলনায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন।
এ বিষয়ে ডা. সুহাস বলেন, রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে কখন করোনায় আক্রান্ত হয়েছি বুঝতে পারিনি। তবে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় ১০-১২ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছি। করোনা পজিটিভ থাকাকালীন ফোন কলের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া অব্যাহত রেখেছি।
করোনায় আক্রান্ত হওয়া খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) সাদিয়া মনোয়ারা উষা জানান, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথা নিয়ে ১৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মেহেদি নেওয়াজ বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ পরিস্থিতির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে খুলনায় ৫/৬ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
পরিস্থিতি বিবেচনায় চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসক নেতা আরও বলেন, ‘দেশে প্রায় ৭০ শতাংশ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। কিন্তু সরকার যে সকল সুযোগ-সুবিধা স্বাস্থ্যকর্মীদের দিচ্ছে তা শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানই পাচ্ছে। দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা তা পাচ্ছে না।’
করোনায় আক্রান্ত হওয়া খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘প্রত্যক্ষভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরাও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে বর্তমানে স্বাস্থ্যকর্মীরা সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছেন।’