সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারি অনেক নিয়ম-নীতিও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি অবৈধ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতোমধ্যে লাইসেন্স না থাকা তিনটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা জারি করে নোটিশও দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরেই একের পর এক বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠছে। যার মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ১১টি ক্লিনিক ও ১৯টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এছাড়া শিবগঞ্জে ১৬টি ক্লিনিক ও ১৮টি ডায়াগনস্টিক, নাচোলে ৩টি ক্লিনিক ও ৩টি ডায়াগনস্টিক, গোমস্তাপুরে ১১টি ক্লিনিক ও ৬টি ডায়াগনস্টিক, ভোলাহাটে ১টি ক্লিনিক ও ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কাছে লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে ১৮১টি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ৭৫টি আবেদনই অসম্পূর্ণ। অধিদপ্তরের চাহিদামতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করে লাইসেন্সের অপেক্ষায় রয়েছে ৪১টি প্রতিষ্ঠান। আর লাইসেন্স পেয়েছে মাত্র ২০টি প্রতিষ্ঠান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ৩০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে আধুনিক সদর হাসপাতালের আশপাশেই রয়েছে ১০টি। যার অধিকাংশই অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠান মালিকরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করেই অস্ত্রোপচার ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে যা সরকারি নিয়মবহির্ভূত। এমনকি এসব প্রতিষ্ঠানে রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো ফি আদায় করা হচ্ছে।
এছাড়া, একই ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানভেদে আদায় করা হচ্ছে একেক ধরনের ফি। এতে চরম বিভ্রান্তি ও বিড়ম্বনায় পড়ছেন রোগী ও স্বজনরা।
যোগাযোগ করা হলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, লাইসেন্স না থাকা তিনটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা জারি করে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আরও একাধিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কালো তালিকাভুক্তির কাজ চলছে।
লাইসেন্স না করা পর্যন্ত সবগুলো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধে নোটিশ দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘লাইসেন্স না হলে কোনো বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া হবে না।’