সরেজমিনে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ফরিদপুর ও আশপাশের জেলা থেকে অসুস্থ শিশুদের নিয়ে স্বজনরা ছুটে আসছে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে। ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের পাশাপাশি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।
এব্যাপারে ফরিদপুর শিশু হাসপাতাল প্রশাসনিক কর্মকতা মো. আক্কাস মন্ডল জানান, এই হাসপাতালে আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিনশ থেকে ৪শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসছে। এর অধিকাংশই শীত জনিত রোগী।
ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে আসা কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় ভুগছে শিশু। তাই বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের কাছে আসছি।’
ফরিদপুরের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. নিরঞ্জন কুমার জানান, বর্তমানে শীতজনিত সমস্যা নিয়ে অনেক রোগী আসছে।
তিনি বলেন, এখন ডায়রিয়া ও শ্বাষকষ্ট জনিত রোগীই বেশি।
এই চিকিৎসকের পরামর্শ, রোগাক্রান্ত শিশুদের শীতের হাত থেকে রক্ষায় বাবা ও মায়েদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তাদের (শিশুদের) উষ্ণগরম পানি খাওয়ানোর পাশাপাশি সর্বক্ষণ গরম কাপড় পড়িয়ে রাখতে হবে। কোনভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না।
এদিকে গত কয়েক দিনে এই অঞ্চলে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঘন কুয়াশা। দুপুরের পরেও সূয্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। আর সন্ধ্যার পরেই সর্বত্র শিশির পড়তে থাকে।
ফরিদপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সরুজল আমিন জানান, গত দুই দিন এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ (বৃহস্পতিবার) তাপমাত্রা রয়েছে ১০.৮ এ।
ফরিদপুর জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারিভাবে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত কম্বল জেলায় এসেছে। আমরা ইতিমধ্যে নয় উপজেলায় পৌছে দিয়েছি। সুবিধাজনক সময়ে তারা সেগুলো বিতরণ করবেন।’
এছাড়া ফরিদপুর সদরের সাড়ে ৫ হাজার শীতার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী উপহার শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।