যশোর, ২৩ মে (ইউএনবি)- যশোর জেলায় দুই হাজার ২৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪৭টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অথচ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও ওইসব জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব বিদ্যালয়গুলোতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক ও উৎকন্ঠার মধ্যেই পাঠ গ্রহণ করছেন। খুব শিগগিরই এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে, যশোর শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয়ের নির্দেশ মতে জেলার ১৪৭টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে তার তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুনঃনির্মাণ বা সংস্কার কাজ করা হবে।
যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যশোর জেলার ৮টি উপজেলার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শার্শায় ৪১টি, সদর উপজেলায় ১৮, অভয়নগর উপজেলায় ৩টি, কেশবপুর উপজেলায় ৪টি, চৌগাছা উপজেলায় ১২, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২৫, বাঘারপাড়া উপজেলায় ১৫ ও মনিরামপুর উপজেলায় ২৯টি রয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলার মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, তার স্কুল ৪-৫ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ও সাথে জায়গার সংকট রয়েছে। বিভিন্ন সময় ঝড়ে ভবনের প্লাস্টার ভেঙে পড়ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি । দ্রুত ভবন পুনঃনির্মাণ না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
যশোর সদর উপজেলার নালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন জানান, তার বিদ্যালয়ে ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির জরাজীর্ণ হওয়ার খরব কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো প্রতিকার আসেনি।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম বলেন, প্রাথমিক মন্ত্রালয়ের নির্দেশনায় যশোর জেলায় ৮টি উপজেলার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই তালিকাটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রথমদিকে এই ভবনগুলো পুনঃনির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।