দেশের অফিসিয়াল গোপনীয় আইন ভঙ্গের অভিযোগে ওই দুই সাংবাদিক কারাবন্দী ছিল। রোহিঙ্গা নির্যাতন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় গ্রেপ্তার ও মামলা দিয়ে তাদের কারাবন্দী করা হয়েছিল।
ইয়াঙ্গুনের ইনসিন কারাগার প্রধান জ জ বলেন, সাংবাদিক ওয়া লুন এবং কিয়াও সোয়ে ওকে মঙ্গলবার সকালে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ৬ হাজার ৫২০ বন্দীর জন্য সাধারণ ক্ষমা জারি করেন। এর মধ্যে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকও ছিলো। তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে বলেন, তারা দুই সাংবাদিককে কারাগার থেকে বের হতে দেখেছেন।
এই দুই সাংবাদিককে দেশটির বিচারিক আদালত ৭ বছর কারাভোগের আদেশ দেয়। পরে তা পুনর্বিবেচনার জন্য গত ২৩ এপ্রিল আবেদন করেন তারা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে সাংবাদিকদ্বয়কে কারাগারে পাঠায় মিয়ানমার সুপ্রিম কোর্ট।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বাস্তুচ্যুত হওয়া বিষয়ে এই দুই সাংবাদিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে গোপনীয়তা বিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা ও তাদের গ্রেপ্তার করে মিয়ানমার সরকার।