জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। রবিবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ১৩ হাজর ৬৬৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৭ হাজারেরও বেশি মানুষের।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৯ জনে এবং মারা গেছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
এদিকে, এ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৫ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৩৯ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
দেশে করোনাভাইরাসে আরও ৩৪ জনের মৃত্যুবরণের মধ্য দিয়ে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৯৫ জনে।
সেই সাথে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৫০৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৯টি। পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৫ হাজার ১৫৭টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লাখ ১২ হাজার ৯৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩২ এবং নারী দুজন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৩১৮ জন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।