এ ঘটনার পর স্থানীয় গণমাধ্যমে দু’জন নিহতের খবর উঠে আসলেও দেশটির ফায়ার সার্ভিস বিভাগ একজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে।
ছুরিকাঘাতে হতাহতরা কাওয়াসাকি শহরের নবোরিতো পার্কের পাশে বাসে ওঠার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর মধ্যেই হঠাৎ করেই অতর্কিত হামলা চালায় চল্লিশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি।
পুলিশের বরাত দিয়ে এনএইচকে টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, হতাহতদের মধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আর নিহতের মধ্যে একজন শিশু এবং প্রাপ্ত বয়স্ক রয়েছেন। যদিও শুরুতে এই টেলিভিশনের খবরে তিনজন নিহতের খবর প্রকাশ করা হয়েছিল।
একজন বাসচালক জানান, এক ব্যক্তি দুই হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে বাসের জন্য লাইনধরা শিশুসহ অন্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালাতে থাকে।
হামলাকারী ওই ব্যক্তিকে পরে আটক করা হয়েছে জানিয়ে এনএইচকে টেলিভিশনে বলা হয়, হামলার এক পর্যায়ে ওই ওই ব্যক্তি নিজের ঘাড়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তবে পুলিশ এ ব্যাপারে বিস্তারতি কিছু জানায়নি।
এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানে সহিংস অপরাধের হার খুবই কম। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে বেশ কয়েকটি ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বছর তিনেক আগে রাজধানী টোকিও’র অদূরে কানাগাওয়া প্রদেশের সাগামিহারায় এক প্রতিবন্ধী আশ্রয় কেন্দ্র ‘সুকুই ইয়ামারি’-তে এক যুবকের ছুরির আঘাতে ১৯ জন নিহত হয়েছিল।