তবে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন কমান্ডার জেনারেল স্কট মিলার।
নির্বাচনের দুই দিন আগে এবং জঙ্গিগোষ্ঠী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১৭ বছর পর এমন হামলায় আরো একজন সিনিয়র আফগান কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবান।
একজন তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, তাদের টার্গেট ছিল মিলার।
তবে মিলারের সাথে মিটিংয়ে অংশ নেয়া কর্নেল ডেভিড বাটলার বলেছেন, কান্দাহার পুলিশ প্রধান আব্দুল রাজিক তাদের টার্গেট ছিল, মার্কিন জেনারেল ছিলেন না।
এপিকে বাটলার বলেন, ‘এটা মোটামুটি পরিষ্কার যে রাজিকই ছিল হামলার মূল লক্ষ্য। মিলার পাশে থাকলেও তিনি টার্গেটে ছিলেন না।’
এপি টিভির ক্যামেরাম্যান, যিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন তিনি জানান, কান্দাহার শহরের সরকারি ভবনে প্রতিনিধিদল মিটিংয়ের জন্য উপস্থিত হন। মিটিং শেষে সবাই গ্রুপ ছবি তুলতে গেলে হামলাকারী গুলি চালায়। সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন এবং মার্কিন প্রতিনিধিদল তাদের হেলিকপ্টারের দিকে দৌড়াতে থাকেন।
কিন্তু মার্কিন নিরাপত্তা সদস্য এবং আফগান পুলিশের মধ্যে এসময় বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, কেননা তারা মার্কিন প্রতিনিধিদলকে হেলিকপ্টারের কাছে যেতে বাধা দেয়।
রাজিক ছাড়াও কান্দাহার গোয়েন্দা প্রধান আব্দুল মোহমিন হামলায় নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে কান্দাহার প্রদেশের গভর্নর জালামি ওয়েসাকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
তালেবান মুখপাত্র কারি ইউসূফ আহমাদী বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে এবং তাদের টার্গেট ছিল মিলার।