প্রথম ধাপে ১৮টি রাজ্যের ৯১টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। নানা রঙের পোশাক পড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নারী-পুরুষরা দলে দলে তাদের নেতা নির্বাচনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন।
আগামী ১৯ মে পর্যন্ত দেশটিতে সাতটি ধাপে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৩ মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। প্রায় ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে এবার ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি।
এবারের নির্বাচনকে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের নির্বাচন হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছিল। গত নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬টি আসন। যার মধ্যে ২৮২টি আসন জিতে নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র ৪৪টি আসনে।
এবারের নির্বাচনে বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরানো দল ভারতীয় কংগ্রেসের, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী।
ভারতে লোকসভা বা সংসদের নিম্ন কক্ষে মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। সরকার গঠন করতে কোনো দল বা জোটের কমপক্ষে ২৭২টি আসন প্রয়োজন হয়।
মোদির সমর্থকরা বলছেন, গুজরাটের রাজ্যের চা বিক্রেতার ছেলে দেশের অবস্থানের উন্নতি করেছেন। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, তার দলের হিন্দু জাতীয়তাবাদ ভারতে ধর্মীয় উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে।
বৃহস্পতিবারের নির্বাচন বিজেপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ ২০১৪ সালের নির্বাচনে এটি মাত্র ৯১টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩২টি আসন জিতেছিল।
ভারত বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির অন্যতম দেশে পরিণত হলেও অর্থনীতিতে মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মদক্ষতা সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বিরোধী দল কংগ্রেসের তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এছাড়া এটি দরিদ্র পরিবার ও কৃষকদের জন্য ভর্তুকি কর্মসূচি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।