সকালে রাজ্যের রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ৫৬০ কিলোমিটার দূরে মধ্য প্রদেশের সিদ্ধি জেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটি পাশের সাতনা জেলার দিকে যাচ্ছিল।
এক পুলিশ কর্মকর্ত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাসটিতে চালক ও তার সহকারীসহ ৫০ থেকে ৫৫ জন যাত্রী ছিলেন। চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারালে এটি ব্রিজের রেলিং ভেঙে সারদা খালে পড়ে যায়।’
স্থানীয় পুলিশসহ রাজ্যের দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ‘এ পর্যন্ত প্রায় ৪০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দুর্ঘটনার পর ১০ জন নিরাপদে রয়েছেন,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি নিহত
ঝিনাইদহে দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৫ জনই শিক্ষার্থী, পরিবারে শোকের মাতম
স্থানীয় কিছু টিভি চ্যানেল ছয় ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার অভিযান সরাসরি সম্প্রচার করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রতি ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক টুইটে বলা হয়, ‘সিদ্ধির বাস দুর্ঘটনা ছিল খুবই ভয়ংকর। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইলো। স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনার সাথে সাথে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।’
এক ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী চৌহান বলেন, ‘যা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। যারা মারা গেছে তাদের পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। পুরো রাজ্য ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া বাসের চালককে গ্রেপ্তার করতে তল্লাশি চলছে।’
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা খুব সাধারণ ঘটনা, প্রতি চার মিনিটের মধ্যে একটি ঘটে। এই দুর্ঘটনার পেছনে নিম্নমানের রাস্তা, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের অভাবকে দায়ী করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত সরকারের কঠোর ট্রাফিক আইন প্রয়োগ দুর্ঘটনার লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতে প্রতিবছর এক লাখেরও বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৪: আরএসএফ
ছয় মাসের সাজা ভোগের পরও তিন বছর ধরে মাগুরা কারাগারে ভারতীয় নাগরিক!