গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান পলিসি সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওয়াং বলেন, একটি দেশের মানবাধিকারের মান কেমন তা নিয়ে বেশির ভাগ কথা বলবেন ওই দেশের জনগণ।
তার মতে, মানবাধিকারের সত্যিকারের সর্বজনীনতা শুধুমাত্র তখনই বোঝা যাবে যখন তা বিভিন্ন দেশের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে প্রয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত সাত দশকে এ দেশ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
‘আমরা ৮৫ কোটি মানুষকে দরিদ্রতা থেকে তুলে এনেছি, দারিদ্র্য হ্রাসে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমাদের অবদান ৭০ শতাংশের বেশি। এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডার গোল ওয়ান নির্ধারিত সময়ের ১০ বছর আগে অর্জন করেছি,’ উল্লেখ করে ওয়াং জানান, চীন আগামী বছর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পুরো দেশ থেকে চরম দরিদ্রতা মুছে দেবে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, তার দেশ নিজেদের ৭৭ কোটি মানুষের কাজের ব্যবস্থা করেছে। সেই সাথে ২৫ কোটি বয়স্ক, সাড়ে ৮ কোটি প্রতিবন্ধী ও ভাতার ওপর নির্ভরশীল ৬ কোটির ওপর শহুরে ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ করেছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে গড়ে তুলেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।
চীনে ৮৫ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ১০০ কোটির ওপর নতুন মিডিয়া ব্যবহারকারী রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক চীনা নাগরিক সংবিধানে নিশ্চয়তা দেয়া বাক স্বাধীনতা ভোগ করছেন।
ওয়াং বলেন, পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী সরকারের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশের ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের আন্তর্জাতিক তালিকায় প্রথম হয়েছে চীন। জরিপে অংশ নেয়া ৮৬ শতাংশ চীনা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, যা বৈশ্বিক গড় মান ৪৭ শতাংশের অনেক ওপরে।