তাদের বিরুদ্ধে সরকারি তহবিল থেকে ৬৬০ কোটি রিঙ্গিত (১৬০ কোটি ডলার) লুট করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তার সময়ের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান হাসানা আব্দুল হামি ১২ কোটি ১০ লাখ ডলার অর্থ অপব্যবহার করায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় ১এমডিবি তহবিল থেকে অর্থ লুটের অভিযোগে নতুন ছয়টিসহ মোট ৩৮টি মামলা হয়েছে নাজীবের বিরুদ্ধে।
গত মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর মালয়েশিয়ার নতুন সরকার ১এমডিবি স্ক্যান্ডালের ঘটনায় প্রসিকিউশন গঠন করে।
নাজীব এবং সাবেক রাজস্ব মহাসচিব মোহাম্মদ ইরওয়ান সেরিগার আব্দুল্লাহ আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে অর্থ অপব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা বাজেট এবং দরিদ্র্যদের জন্য ভর্তুকির টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা। কিন্তু বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
তবে নাজীবের আইনজীবী শাফী আব্দুল্লাহ অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই অর্থ রেল লাইন ও গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্পসহ জরুরি প্রয়োজনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শাফী বলেন, তারা দুজনে ‘নির্বাহী সিদ্ধান্তে’ অর্থ পুনরায় বরাদ্দ দিয়েছেন। ঋণের ঝামেলা থেকে বাঁচতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নাজীব, সেরিগার ও হামি জামিনে রয়েছেন। প্রতিটি অভিযোগে তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা গুনতে হবে।