পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার সকালে মাজারটিতে নিরাপত্তার দায়িত্বরত পুলিশকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
লাহোরের পুলিশ প্রধান গাজানফার আলী জানান, হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য ও তিন পথচারী মারা গেছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
পাঞ্জাব সরকারের সিনিয়র প্রাদেশিক মন্ত্রী রাজা বাশারত বলেন, ‘বোমা হামলাকারী মাজারের ভেতর প্রবেশ করতে পারলে আরও অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটতো। নিরীহ মানুষদের বাঁচাতে গিয়ে আমাদের পুলিশ কর্মকর্তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
‘গতকাল পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এ ধরনের সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই,’ যোগ করেন তিনি।
পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর চৌধুরী মোহাম্মদ সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা ইসলাম ও মানবতার শত্রু। সর্বশক্তিমান আল্লাহ, নিরাপত্তা বাহিনী ও পুরো জাতির সহায়তায় সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করা হবে।’
বোমা হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে বিপুল সংখ্যক মানুষ মাজার পরিদর্শন করেন। এর আগে ২০১০ সালে মাজারে সিরিজ আত্মঘাতী হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত ও আহত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে প্রায়ই একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে।