প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে এ বিলকে। যদিও আদালতের আদেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিকল্পনাটি স্থগিত রয়েছে।
২০১৫ সালে সিরিসেনা ও বিক্রমাসিংহে ঐকমত্যের সরকার গঠন করেন। কিন্তু সেই ঐক্য ভেঙে গেছে এবং তারা সরকারের মাঝে প্রতিপক্ষে পরিণত হন।
শুক্রবার পার্লামেন্ট সদস্য বান্দুলা লাল বন্দরিগোদা বলেন, এ বিলে ভবিষ্যতে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়েছে এবং যারা ইতিমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাওয়া হয়েছে।
‘বিলটি গত বৃহস্পতিবার আনা হয় এবং কেউ চ্যালেঞ্জ না করলে ১৪ দিনের মধ্যে ভোটের জন্য তোলা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
এর আগে এক জনসভায় সিরিসেনা বলেন, যারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিরোধিতা করছেন, তারা একটি সুন্দর ও শালীন দেশের বিরোধিতা করছেন। কারণ মাদক হলো সকাল অপরাধের মূল।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভালোর জন্যই তিনি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান সিরিসেনা।
সিরিসেনা গত জুনে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি মাদক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত চার বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে স্বাক্ষর করেছেন।