আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই গণগ্রেপ্তার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের বিরুদ্ধে বৃহত্তম পদক্ষেপ।
সাবেক সংসদ সদস্য লাম চুক-টিং এর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায় এবং তাকে বলা হয় যে তিনি ‘জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন’ এর একজন সন্দেহভাজন।
সাউথ চীনা মর্নিং পোস্ট, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নাউ নিউজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা জানিয়েছে যে, পুলিশ এই গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: হংকংয়ের বিষয়ে ‘ফাইভ আইজের’ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান চীনের
শহরের বৃহত্তম বিরোধী দল - হংকং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যানসহ দলের কমপক্ষে সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হংকংয়ের ২০১৪ সালের কেন্দ্রীয় বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব প্রাক্তন আইন অধ্যাপক বেনি তাইকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
তাই জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক নির্বাচনের প্রধান সংগঠক ছিলেন যা আইনসভায় গণতন্ত্রপন্থী আসন অর্জনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: হংকংয়ের মিডিয়া শিল্পপতি জিমি লাই গ্রেপ্তার
বুধবার প্রকাশিত গ্রেপ্তারের খবর অনুসারে, এই বেসরকারি প্রাথমিক নির্বাচনের গণতন্ত্রপন্থী সকল প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বছর অনুমোদন ছাড়া বিক্ষোভ আয়োজনের জন্য কারাগারে সাজা খাটা একজন বিশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী কর্মী জোশুয়া ওংয়ের টুইট করা এক পোস্টে জানা গেছে, তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন বিলে ট্রাম্পের সই
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী অনলাইন নিউজ সাইট স্ট্যান্ড নিউজের একটি ভিডিও অনুসারে, পুলিশ জাতীয় নিরাপত্তা আইন সম্পর্কিত তদন্তে সহায়তা করার জন্য নথিপত্র হস্তান্তর করার আদালতের আদেশসহ স্ট্যান্ড নিউজের সদর দপ্তরেও গিয়েছিল। তবে সেখান থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের সাথে জড়িত থাকার জন্য হংকং এরই মধ্যে ওং ও অ্যাগনেস চৌসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে এবং হংকংয়ের মিডিয়া শিল্পপতি জিমি লাইসহ অন্যদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত অনানুষ্ঠানিক ভোটে ৬ লাখেরও বেশি ভোটার অংশ নিয়েছিল। তবে বেইজিংপন্থী আইন প্রণেতারা এবং রাজনীতিবিদরা তখন সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এই ভোট নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করতে পারে।
হংকংয়ের নেতা কেরি লাম ওই সময় বলেছিলেন যে এই নির্বাচনকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সিনহুয়ার হংকং কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ শতাধিক
বেইজিংও ওই ভোট অবৈধ বলে উল্লেখ করেছিল এবং এটিকে হংকংয়ের নির্বাচনী ব্যবস্থার ‘গুরুতর উসকানি’ বলে অভিহিত করেছিল।
১৯৯৭ সালে ব্রিটিশরা হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করার পরে, আধা-স্বায়ত্তশাসিত চীনা শহরটি ‘এক দেশ, দুই নীতি’ কাঠামোয় পরিচালিত হয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বেইজিং এই শহরটির উপর আরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা হংকংয়ের স্বাধীনতাকে হরণ করছে বলে সমালোচনাও চলছে।
আরও পড়ুন: হংকং পার্লামেন্টে ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে বিশৃঙ্খলা