ই. জিন ক্যারল নামের ওই নারী সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, ১৯৯০ এর দশকে তাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে তার ওপর যৌন হামলা চালিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ক্যারল ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ কথা বলছেন।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত দ্য হিল নামের একটি সাময়িকীকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে আমি বলছি: প্রথমত, তাকে আমার পছন্দ নয়। দ্বিতীয়ত, এরকম কখনো ঘটেনি।’
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ই জিন ক্যারল সিএনএনকে বলেন, ‘আমি যে তার পছন্দের নই এতে আমি খুশি।’
বিবিসির বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালে আরও একজন ধর্ষণ অভিযোগকারীর বিষয়েও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন।
জেসিকা লিডস নামের এক নারী অভিযোগ করেছিলেন যে ট্রাম্প ১৯৮০-এর দশকে বিমানে তার গায়ে হাত দিয়েছিলেন।
এই অভিযোগের জবাবে ট্রাম্প এক সমাবেশে বলেন, ‘তিনি আমার প্রথম পছন্দ হবেন না।’
এ নিয়ে ক্যারলসহ মোট ১৬ জন নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন। অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
৭৫ বছর বয়সী ক্যারল গত শুক্রবার দ্য ওয়াল ম্যাগাজিনের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেন।
পরে সিএনএন এবং এমএসএনবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারেও ক্যারল বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বিবেচনা করছেন তিনি।
ই জিন ক্যারল বলেন, নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বার্গডর্ফ গুডম্যান নামের একটি অভিজাত পোশাকের দোকানে কেনাকাটা করার সময় ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে অথবা ১৯৯৬ সালের শুরুতে তাদের দেখা হয়েছিল। টেলিভিশনে অ্যাপ্রেন্টিস অনুষ্ঠানের জন্যে সেসময় খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রোপার্টি ব্যবসা থেকে প্রচুর অর্থবিত্তেরও মালিক হয়েছিলেন তিনি। ফলে অনেকেই তাকে চিনতো।
ক্যারল বলেন, ওই দোকানে ট্রাম্প একজন নারীর জন্যে পোশাক কেনার ব্যাপারে তার কাছে পরামর্শ চেয়ে কৌতুক করে বলেছিলেন যে তিনি ওই পোশাকটি পরে তাকে দেখাতে পারেন কিনা। পরে ট্রায়াল রুমে ট্রাম্প তাকে একটি দেয়ালের সাথে চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ক্যারল।