বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় ২৩ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি-রপ্তানি চালুর জন্য বারবার অনুমতি দিলেও পশ্চিমবঙ্গ করোনার রেড জোন থাকায় তৃণমূল সরকার আমদানি-রপ্তানির চালুর অনুমতি দেয়নি।
চতুর্থ দফা লকডাউন দেয়ার পর কেন্দ্র সরকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন তুলে নিয়ে আনলক অন পদ্ধতি চালু করেছে। সে সুবাদে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং পেট্রাপোল বন্দরের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা প্রশাসনের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে আমদানি-রপ্তানি চালুর সিদ্ধান্ত নেন।
রবিবার বিকাল থেকে ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে মোটরসাইকেলের পার্টস ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে এসে পৗঁছেছে।
এদিকে, বন্দর চালুর খবর শুনে পেট্রোপোল এবং বেনাপোল বন্দরের হাজার হাজার বন্দর শ্রমিক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। দীর্ঘ দুই মাসের অধিক সময় বন্দরে কাজকর্ম বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন-যাপন করছিলেন তারা। আমদানিকারকরাও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন আমদানি-রপ্তানি চালুর খবর শুনে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সিঅ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চন্দ্র জানান, পেট্রাপোল বন্দরে প্রায় আড়াই হাজার ট্রাক মালবোঝাই করে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পড়ে আছে। দীর্ঘ দিন পড়ে থাকায় ট্রাকে থাকা পণ্যের গুনগত মান নষ্টের পথে। অনেক ট্রাকের ব্যাটারি, টায়ার নষ্ট হয়ে গেছে যে কারণে একটু ধীর গতিতে আমদানি-রপ্তানি হবে বলে তিনি জানান । তবে আগামীকাল থেকে আগের মতো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বেনাপোল দিয়ে বিকালে থেকে পুনরায় দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। দুদেশের কাস্টমস, বন্দর, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, সিঅ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, ‘বিকাল থেকে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তান বাণিজ্য পুনরায় চালু হয়েছে। পিপিই ও মাস্ক ব্যবহার করে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ট্রাকচালক ও হেলপাররা পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছেন। পণ্য দ্রুত বন্দরে লোড আনলোড করার জন্য আমরা তাদের সবধরনের সহযোগিতা করছি।’