তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্যে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাবের ফলে বিগত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে পণ্য খাতের রপ্তানি আয় হ্রাস পেয়েছে, তবে জুন মাস থেকে তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আশা করা যায়, সঠিক নীতি অনুসরণ এবং সময় মতো তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে রপ্তানির গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জুম প্লাটফর্মে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি খাতে ৪১ বিলিয়ন এবং সেবা রপ্তানি খাতে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে পণ্য রপ্তানি খাতে ২১.৭৫ শতাংশ এবং সেবা রপ্তানিতে খাতে ৯.৪৬ শতাংশ।
‘বিশ্ব বাণিজ্যের সাম্প্রতিক গতিধারা, দেশীয় এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর প্রভাব, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত লক্ষাধিক কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা, রপ্তানি সম্ভাবনাময় নতুন পণ্য ও সেবা খাতের বিকাশ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্সের পর্যালোচনা মোতাবেক গৃহীত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী পদক্ষেপসহ গত বছরের রপ্তানি খাতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির গতিধারা পর্যালোচনা করে এ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে,’ যোগ করেন টিপু মুনশি।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে কানাডা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চলতি অর্থবছরের ৬ মাস পর বিশ্ব অর্থনীতি এবং আমাদের রপ্তানির গতিচিত্র পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে আজ ঘোষিত ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।’
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর কোরবানির চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকার সবকিছু করবে। বিষয়টির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এবং বিগত দিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। চামড়া সংগ্রহের জন্য এবার কোনো অর্থ সংকট থাকবে না। এবার প্রয়োজনে সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির বিষয়টিও মাথায় রেখেছে। গত বছরের মতো পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতে হতে দেয়া হবে না। কয়েক দিনের মধ্যে ট্যানারি মালিকরা চামড়ার ক্রয়মূল্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। আমরা আশাবাদী এ বছর কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইয়ের প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বেসিসের সভাপতি আলমাস কবীর, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম এবং বিকেএমইয়ের প্রথম সহসভাপতি মো. হাতেম।