চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ২৭তম এ মেলায় দেশি-বিদেশি ৪৫০টির অধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার বিকাল ৩টায় নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি। উপস্থিত থাকবেন সাংসদ ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এমএ লতিফ।
মেলার সার্বিক প্রস্তুতি জানিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
সংবাদ সম্মেলনে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিগত ২৬ বছর ধরে দেশীয় শিল্পের প্রসার ও মানোন্নয়নে চেম্বার এ আয়োজন করে আসছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ইঞ্জিন বলে খ্যাত এসএমই খাতে বিকাশের লক্ষ্যেই মূলত এ মেলার আয়োজন।
দেশে বেসরকারি খাতে এটি সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মেলা ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরবাসী বিনোদনেরও সুযোগ পাচ্ছে।
এবারের মেলায় দর্শনার্থীর টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১২ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেলা কমিটির চেয়ারম্যান নুরুন নেওয়াজ সেলিম।
তিনি বলেন, চার লাখ বর্গফুটের অধিক জায়গাজুড়ে অনুষ্ঠিতব্য মেলায় এবার ২২টি প্রিমিয়ার গোল্ড প্যাভিলিয়ন, ৩টি মেগা প্যাভিলিয়ন, ২টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৬টি স্ট্যান্ডার্ড প্যাভিলিয়ন, ১৮০টি প্রিমিয়ার মেগা স্টল, ২২টি মেগা স্টল, ১০টি প্রিমিয়ার গোল্ড স্টল, ১৪টি স্ট্যান্ডার্ড স্টল, ২টি রেস্টুরেন্টসহ মোট ৩৮টি প্যাভিলিয়ন বসবে। তিনটি আলাদা জোনে বিভক্ত হয়ে মোট ৪৫০টিরও অধিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে।
তিনি জানান, অন্যান্য বছরের মতো থাইল্যান্ড মেলার পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে অংশগ্রহণ করছে। থাইল্যান্ড ৪ হাজার ৫০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে মেলায় অংশ নেবে। এছাড়া ভারত, কোরিয়া ও ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশ মেলায় অংশ নিচ্ছে।
ই-টিকিটিং ও এসএমএসের মাধ্যমেও টিকিট কেনা যাবে।
চেম্বার নেতারা বলেন, কলাপাতা থেকে কীভাবে ফাইবার উৎপন্ন করা যায় সেটি মেলায় দর্শনার্থীদের দেখানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-মেলা কমিটির কো চেয়ারম্যান জামাল আহমেদ, চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, নুরুল আবছার চৌধুরী প্রমুখ।