সম্প্রতি বন্দর চত্বরে চীন থেকে জাহাজে করে আসা তিনটি কনটেইনার খুলে এমন চিত্র দেখতে পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ঢাকার একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালানটিতে এক হাজার ০৭টি হুইল চেয়ার ও ৪৫০ টি ‘ক্রাস ওয়াকার’ আনা হচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কনটেইনার খুলে মাত্র ৪০টি হুইলচেয়ার পাওয়া গেলেও সবগুলোতে ইট পাওয়া যায়।
কাস্টমস সূত্র জানায়, হুইল চেয়ার এবং ক্র্যাচ প্লাস ওয়াকার ঘোষণা দিয়ে কনটেইনারগুলো বন্দরে এনেছিল ঢাকার লোটাস সার্জিক্যাল নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
আমদানিকারকের পক্ষে চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল নর্থ বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজ নামে এক সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। গত ২৯ এপ্রিল এমভি সি স্পেন নামে একটি জাহাজে কনটেইনার তিনটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে।
গোয়েন্দা সংস্থার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কনটেইনার তিনটি পরীক্ষা করে এসব তথ্য পাওয়া যায় জানিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, এই ঘটনায় মুদ্রা পাচার হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কাস্টম হাউসের কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ধারণা এর মাধ্যমে মুদ্রা পাচার হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি ব্যাংককেও জানিয়েছি। তদন্তের পর এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’