বৃহস্পতিবার খুলনা সিটি ইন হোটেলে আয়োজিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আসন্ন জাতীয় বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের অংশীজনের সাথে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের বাজেটের আকার যেমন বাড়ছে সেই সাথে রাজস্ব আহরনের পরিমানও প্রতিবছর ১৫-২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। বাংলাদেশের বাজেট এখন অনেকটাই স্বনির্ভরশীল। পদ্মাসেতু নির্মাণ তার বড় উদাহরণ।
করের আওতা সম্প্রসারণ এনবিআরের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে প্রধান অতিথি বলেন, অন্য দেশের তুলনায় আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত খুব কম। মাত্র ১০শতাংশ। এই হারকে আগামী এক বছরে ১৪-১৫ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে এনবিআর। এজন্য অধিক সংখ্যক মানুষকে করের আওতায় আনতে হবে।
তবে সরকার মানুষকে কষ্ট দিয়ে বাজেট তৈরি করতে চায় না জানিয়ে তিনি দিতে এসে সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, এনবিআর সদস্য মো. ফিরোজ শাহ আলম, কানন কুমার রায়, ড. আব্দুল মান্নান শিকদার, কর-অঞ্চল খুলনার কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়, মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, খুলনা ভ্যাটের কমিশনার মো. মোস্তবা আলী, কর-আপীল অঞ্চল খুলনার কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, খুলনা ভ্যাট আপীল কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ হোসাইন আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাক বাজেট আলোচনায় উন্মুক্ত পর্বে অংশ নিয়ে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন চেম্বার ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ বাজেট বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব পেশ করেন।