সিউলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে শুক্রবার বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ সময় খালিদ মাহমুদ দুদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার পাশাপাশি নৌপরিবহন খাতে বিরাজমান সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে ব্লু বায়ো টেকনোলজি, টাইডাল এনার্জি, ওসান সেফটি ও মেরিটাইম খাতে প্রশিক্ষণ, কোরিয়ার জাহাজে বাংলাদেশের নাবিকদের কর্মসংস্থান এবং জাহাজ নির্মাণ খাতে প্রযুক্তি বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক তরুণ ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি এ দেশকে একটি বৃহৎ ও বিনিয়োগের জন্য এক সম্ভাবনাময় বাজারে পরিণত করেছে। এ সম্ভাবনাকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে কোরিয়াকে বাংলাদেশের নৌপরিবহন ও গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
সেই সাথে নৌপরিবহন খাতে কোরিয়া সরকারের দেয়া উন্নয়ন সহায়তা আরও বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান খালিদ মাহমুদ।
জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী হায়োক এসব খাতে তার সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের নৌপরিবহন ও বন্দর উন্নয়ন খাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জুলফিকার আজিজসহ দুদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল চার দিনের সফরে ২৭ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়া যায়।