অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী আগামী বছরের প্রথম দিকে বাংলাদেশ সফরের আশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করবেন। পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের লক্ষ্যে তিনি কক্সবাজার সফর করবেন। তিনি তাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য পাঠাবেন। বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, এসএমইতে তিনি আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
বুধবার তুরস্কের আঙ্কারায় তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী মেহমেত নুরী এরসয় এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী এসব জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ।
বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে অধিক হারে মুনাফার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। চীন, ভারত এবং এশিয়ার অন্যান্য ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে। যা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং গ্লোবাল আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী মেহমেত নুরী এরসয় বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক তারকা। তুরস্ক ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। যদিও দুদেশের বাণিজ্য পরিসর ততটা ভাল নয়। তারপরে যাতে করে বাণিজ্য পরিসর আরও বৃদ্ধি করা যায় সেজন্যই আমাদের প্রচেষ্টা।
এরপর বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সাহায্য সংশ্লিষ্ট যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং তুরস্কের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী মেহমেত নুরী এরসয়।