এর আগে দেশের রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আরও ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ কর্মী বিকাশের এই ডিজিটাল স্যালারি ডিজবার্সমেন্ট সেবাটি গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে কেক কেটে এই যাত্রার উদ্বোধন করা হয়। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদসহ অনেকেই।
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবা গ্রহণ করা দশটি প্রতিষ্ঠান হলো- নিউ এশিয়া গ্রুপ, শাইনেস্ট গ্রুপ, ইভিন্স গ্রুপ, নিউ এজ গ্রুপ, ডেবোনিয়ার গ্রুপ, তামিশনা গ্রুপ, মাহদীন গ্রুপ, ভিশন গ্রুপ, সাঙ্গু গ্রুপ এবং বেস্ট শার্টস লিমিটেড।
প্রচলিত পদ্ধতিতে কর্মীদের বেতন পরিশোধ ব্যয়বহুল, সময়সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়, একই সাথে বেতনের দিন কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার বিপরীতে বিকাশের মতো সহজ, ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা দ্রুতই পোশাক শিল্পের মালিক এবং কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ পদ্ধতিতে বেতন পরিশোধে স্বচ্ছতাও আগের চাইতে আরও বেশি নিশ্চিত হয়েছে।
কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই সহজে এবং সঠিকভাবে একাউন্টে বেতন পাওয়া ও তা ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে বিকাশের পক্ষ থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।
বিকাশের এই ডিজিটাল স্যালারি ডিজবার্সমেন্ট সেবাটি বৃহত্তর অর্থে নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করে দেশের বৃহত্তম এই মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি।