বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তহবিল থেকে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য ২ শতাংশ সুদে লোন দেয়া হবে। এ তহবিলের অর্থ দ্বারা কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্প নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস বন্ধের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা নেই। মালিক চাইলে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চালাতে পারবেন।’
আন্তমন্ত্রণালয়ের ওই বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হকসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কী সুযোগ আছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে আমরা করণীয় ঠিক করবো। আমরা বিপদটা জানি, চেষ্টা করবো ব্যবসা-বাণিজ্য সেই অনুযায়ী ঠিক করার।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছে। করোনাভাইরাসকে প্রধানমন্ত্রী একটি যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন।
‘আমরা সৈনিক আমরা সবসময় যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। সেই প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সবসময় জনগণের পাশে থাকবো,’ যোগ করেন তিনি।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সেনা সদস্য আরও বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে সেনাপ্রধান বলেন, ‘যত প্রয়োজন তত সেনাবাহিনীর সদস্য দেয়া হবে। তবে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টির প্রয়োজন নেই।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ছুটি চলাকালে জনগণের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। ঘুরে বেড়ানোর জন্য এ ছুটি দেয়া হয়নি। ঘরে থাকার জন্যই এ ছুটি দেয়া হয়েছে। এই বার্তাটা প্রচারে গণমাধ্যমের সহযোগীতাও কামনা করছি।’