রবিবার দুপুরে নিজেদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এসএমসিসিআই নেতারা।
এরআগে গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে একই মাঠে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে সিলেট চেম্বার অব কমার্স। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে সিলেটে হতে যাচ্ছে দুটি বাণিজ্য মেলা।
সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি ও সিলেট ৫ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯ এর আহ্বায়ক মো. আব্দুল জব্বার জলিল জানান, এবারের মেলাটি দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আয়োজনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হবে এ বাণিজ্য মেলা। বাংলাদেশের বড় বড় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং ভারত, চীন, মিশর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তানসহ বিশ্বের আরও বিভিন্ন দেশের স্টল থাকবে মেলায়।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলের স্থানীয় ব্যবসায়ী, তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা, তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের উৎসাহীত করার লক্ষ্যে দেশি ও বিদেশি সম্মিলিত অংশগ্রহণে এবারের বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
আহ্বায়ক মো. আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, ‘বাণিজ্য মেলায় সমাজের অবহেলিত সম্প্রদায়কে পুনর্বাসনে সহায়তার জন্য এবং তাদেরকে কর্মমুখী করার লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফ্রি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক ও বিভিন্ন আকর্ষণীয় এবং বিনোদনমূলক ইভেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। মাঠের নিরাপত্তার জন্য সরকারি বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে আমাদের নিজস্ব পোশাকধারী নিরাপত্তা কর্মীবাহিনী।’
তিনি আরও জানান, এছাড়াও সারা মাঠ জুড়ে থাকবে সিসি ক্যামেরা। রাস্তা ও পার্কিং শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পুলিশ ও নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীবাহিনী। সার্বক্ষণিক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য থাকবে জেনারেটর ব্যবস্থা।
বাণিজ্য মেলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রবেশ পাসসহ শিশুদের বিনোদনের সকল ইভেন্ট ফ্রি ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক পাসকার্ড মেলার গেট অথবা অফিস চলাকালীন সময় অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসএমসিসিআই) সভাপতি হাসিন আহমদ, সহ-সভাপতি হুরায়রা ইফতার হোসেন, সাবেক পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী, মাওলানা খায়রুল হোসেন, পরিচালক মাহবুবুর রহমান, জালাল উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।