বৃহস্পতিবার ফেসবুকে তার ফেরিভাইড প্রোফাইলে দেয়া এক পোস্টে এ দাবি জানান তিনি।
পোস্টে রাব্বানী লেখেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের অবস্থান একদম সুস্পষ্ট! মেধাবীদের তীর্থস্থান, আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা কোনভাবেই কলঙ্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিতে পারি না!’
তিনি আরো লেখেন, ‘‘অনতিবিলম্বে ঘ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে। প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ভবিষ্যতে সকল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
এর ব্যত্যয় ঘটলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে ফেসবুক পোস্টে জানান গোলাম রাব্বানী।
উল্লেখ্য, প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাবির ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয়ে ‘ঘ’ ইউনিটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
গত শুক্রবার ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরের ৮১টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ১৬১৫টি আসনের বিপরীতে ৭০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
তবে পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ে। যাচাই-বাচাই করে দেখা যায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে হলগুলোতে সরবরাহ করা প্রশ্নের ৭২টি এমসিকিউ মিলে গেছে। এর মধ্যে বাংলা ১৯টি, ইংরেজি ১৭টি এবং ৩৬টি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নের মিল পাওয়া যায়।