রবিবার পুরানা পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা তো আছেই (নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে)। কেননা তারা (সরকার) মানুষের জনমত বুঝতে পারছে।’
নির্বাচন বানচালের কোনো আশঙ্কা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল এ কথা বলেন।
তবে তিনি নির্বাচন বানচালের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। ‘আমরা শুধুমাত্র আপনাদের তথ্যগুলো দিচ্ছি। তবে আমি এ বিষয়ে (নির্বাচন বানচাল) কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিক জনগণ এবং ভোটের মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
জনগণ যাতে যথাযথ ও স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারেন সেজন্য সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ড. কামাল।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রার্থীকে গুলি করা হলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
ঐক্যফ্রন্ট প্রধান অভিযোগ করেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে বিরোধী দলের প্রার্থীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিরোধী দলের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটতে থাকলে ভোটের দিন কী হবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ভোটাররা যাতে তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন সেজন্য ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন দেশবাসীকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে বলেন ড. কামাল।
এসময় তিনি জানান, সোমবার সকাল ১১টায় রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোটের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।