বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী সংস্থার সাথে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। মন্ত্রী এসময় শিল্পীদের সম্মানী, শ্রেণিবিন্যাস ও বিভিন্ন দাপ্তরিক সুবিধাদি পুণরায় পর্যালোচনা করে যুগপোযোগী করে তোলার পক্ষে অভিমত দেন।
রাজনীতির ক্ষেত্রে শিল্পীদের অবদান কোনো অংশেই কম নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে যাবেন না বলে আদালতের ওপরে রাজনৈতিক তকমা আরোপ করে বেগম জিয়া একদিকে নিজের অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করছেন, অপরদিকে আদালতকেও রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। এ অপচেষ্টার বিষয়ে সকলের সাথে শিল্পীদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, আদালত যেকোনো জায়গায় বসতে পারে। আদালত কারাগারে অথবা যেকোনো জায়গাতেই বসুক, দেখতে হবে তা উন্মুক্ত কি না। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ আছে, দর্শকদের বসার সুযোগ আছে, সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার আছে। এটি কোনো গোপন আদালত নয়। সুতরাং উন্মুক্ত আদালতে না যাবার কথা বলার অর্থ বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি জিইয়ে রাখার চক্রান্ত।’
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি পঁচাত্তরের পর থেকে দীর্ঘদিন বিচারহীনতার অপসংস্কৃতিই চর্চা করেছে। খুনী-অপরাধীদের বিচারের ঊর্ধ্বে রাখার অপচেষ্টা করেছে। আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেগম জিয়া বিচারহীনতার মধ্যে বসবাস করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। গণতন্ত্রের জন্য এটি বিপজ্জনক একটি ঝোঁক। তারা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ, বঙ্গবন্ধু হত্যা, আগুনসন্ত্রাস, মানুষ পোড়ানো, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলাগুলোকে রাজনৈতিক মামলা বলে চালানোর অপচেষ্টা করে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’
শিল্পী সংস্থার সভাপতি ড. ইনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আজম বাশারসহ বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পীবৃন্দ সভায় আলোচনায় অংশ নেন।