বৃহস্পতিবার আড়িয়ালবিলের কৃষক মো. শহিদুল তালুকদারের ৫৬ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে দেন তারা।
ধান কাটা শেষে আল নাহিয়ান জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করোনা মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কৃষকরা শ্রমিক সংকটে পড়েছে। আমরা চিন্তা করলাম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছাত্রলীগের প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মী রয়েছে। তারা যদি নিজ নিজ এলাকায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়, ধানগুলো কেটে বাসায় পৌঁছে দেয়, এটা আমাদের অনেক সৌভাগ্যের ও গর্বের।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ আড়িয়ালবিলে ধান কাটা আমাদের প্রোগ্রাম। শহিদুল তালুকদার ভাইয়ের ধান কাটার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বৃষ্টি হলে ধান নষ্ট হয়ে যায়। যদি ধান নষ্ট হয় তাহলে আমরা খাদ্য সংকটে পড়তে পারি।
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ সারাদেশের অসহায়দের মাঝে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আমার সভাপতিসহ জেলা ও স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আজ আড়িয়ালবিলে কৃষকের ধান কাটার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
অসহায় কৃষকদের পাশে সর্বদা ছাত্রলীগ থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা ছাত্ররীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল, শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তর্নক মিজু, সাধারণ সম্পাদক আবির রায়হান সৈকত, শ্রীনগর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম লিমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ওহিদুজ্জামান রাজু, কৃষক শহিদুল ইসলাম তালুকদারসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।