তারা ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওয়ারির লালমোহন সাহা স্ট্রিটে গেন্ডারিয়া থানা শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এনামুল হক ইনু ও তার ভাই একই শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভুইয়ার দুটি বাসায় একযোগে অভিযান চালায়। তাদের মধ্যে এনামুল হক ছিলেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ও র্যাব সদরদপ্তরের উপ-পরিচালক (মিডিয়া) সুজয় সরকার জানান, তারা আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছেন।
র্যাব জানায়, বাসার ভেতরে পাঁচটি সিন্দুক ভেঙে প্রায় ২৬ কোটি ৫৫ লাখ নগদ টাকা, ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার ব্যাংকে স্থায়ী আমানতের কাগজ (এফডিআর), ৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, এক কেজি স্বর্ণ ও ক্যাসিনো চিপ উদ্ধার উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি নগদ ৪০ লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ এনামুল ও রুপনকে কেরোনীগঞ্জের সুবাদ্দা এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে অর্থ পাচার মামলায় দুই ভাইয়ের প্রত্যেককে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে গেন্ডারিয়ায়া এলাকায় তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি নগদ টাকা ও ৮ হাজার ৭২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধারের পর থেকেই পলাতক ছিলেন এনামুল ও রুপন। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের চারটি মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাব জানায়, এই দুই আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-মহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, দুই ভাইয়ের ২২টি বাড়ি রয়েছে, যার বেশিরভাগই পুরান ঢাকায়। সেইসাথে ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা এবং পাঁচটি ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে।