বর্তমানে আনোয়ার হোসেন হেলাল রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। গত সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজ বাসায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
এদিকে নওগাঁ-৬ আসনে আনোয়ার হোসেন হেলালের নাম ঘোষণার পর থেকে এলাকায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন। বিভিন্ন মহল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে ১২ জুলাই জন্মগ্রহণ করা আনোয়ার হোসেন হেলাল একজন ব্যবসায়ী। তার বাবা মরহুম আজিম উদ্দীন সরদার ১৯৭৫ সালে উপজেলার ১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এবং ১৯৯১ সালে ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।
আনোয়ার হোসেন হেলাল ২০০৩ সালে ১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথম জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৯ সালে রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। ইউনিয়ন এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আল ফারুক জেমস।
২০১৪ সালে আবারও নৌকা প্রতীক নিয়ে রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তৎকালীন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আল ফারুক জেমসের কাছে পরাজিত হন। ২০১৯ সালে রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন আনোয়ার হোসেন হেলাল।
রাজনৈতিক জীবনে আনোয়ার হোসেন একবার ইউপি চেয়ারম্যান এবং দুবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। ২০০০ সালের ১৯ জুন তার ছোট ভাই তৎকালীন রানীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম নজুকে সর্বহারারা নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করে।
আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে ভালোবেসে নৌকা প্রতীকে মনোনীত করেছেন। আমার প্রতি তিনি আস্থা রেখেছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করে এ আসনটি তাকে উপহার দিব ইনশাল্লাহ।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই এ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শুন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।