সেই সাথে তিনি বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী-৫ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার নানা অভিযোগ আনেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সরকারি দল দেশের সর্বত্র তাদের আধিপত্য কায়েম করেছে। বাস্তবতা হলো নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে সরকারের নির্দেশে কাজ করছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদের অভিযোগ, সরকারের মদদপুষ্ট ‘সন্ত্রাসীরা’ ইসি ও পুলিশের সহায়তায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বানচাল করার চেষ্টা করছে।
‘আমার এলাকা কবিরহাটে সমাবেশ করার অনুমতি থাকার পরও ডিসি ও এসপি আমাকে ফোন করে সেখানে যেতে নিষেধ করেন। সুতরাং, এটা কী ধরনের নির্বাচন! এতে প্রমাণ হয় যে কোনো নির্বাচন হবে না, যখন আমার মতো একজন প্রার্থীকে নির্বাচনী সমাবেশ করতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসতে হয়,’ বলেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, তাদের প্রার্থীরা সারা দেশে একই অবস্থার মুখোমুখি। ‘সরকারি দলের কর্তৃত্ব এবং পুলিশ ও প্রশাসনের ক্ষমতা আছে, কিন্তু তাদের ভোট নেই। এ কারণে তারা এমন আচরণ দেখাচ্ছে।’
মওদুদ আরও বলেন, নির্বাচন যদি আংশিকভাবেও সুষ্ঠু হয় তাহলে সরকারি দলের বিপর্যয় হবে এবং তারা তা জানে বলেই নৈরাজ্য বেছে নিয়েছে। ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে জনগণের মাঝে গুরুতর সংশয় রয়েছে।’
তবে বিএনপির এ নেতা জানান, তাদের দল ও জোট সব নির্যাতন মোকাবেলা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের দৌড়ে থাকবে। ‘ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ যত শক্তির অপপ্রয়োগ করুক তারা তা প্রতিহত করতে পারবে না।’
নিজের নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ নিয়ে মওদুদ বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও প্রটোকল ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ‘তিনি ৭-৮টি গাড়ির বহর ও শতাধিক মোটরবাইক নিয়ে সব সরকারি সুবিধাসহ ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ইসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অনেক অভিযোগ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন মওদুদ।