তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারের (ইসি) পদটি সাংবিধানিক পদ, যেমন হাইকোর্টের বিচারপতির পদ। হাইকোর্টের কোনো বিচারপতি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় কখনও জনসম্মুখে উপস্থাপন করেন না। কারণ, সেটি নিয়ম নয়। সাংবিধানিক পদে থেকে সেটি করা সমীচীনও নয়।’
‘সাংবিধানিক পদে থেকে নিজেদের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিজেদের ফোরামে কথা বলা বাঞ্ছনীয়। সেটি জনসম্মুখে বিশেষ করে গণমাধ্যমের সামনে বলা সাংবিধানিক পদধারী হিসেবে তিনি (মাহবুব) যে শপথ নিয়েছেন সেই শপথের বরখেলাপ কি না সে প্রশ্ন অনেকে রেখেছেন,’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
পুরান ঢাকার গোপীবাগে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থীদের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কে প্রথম হামলা শুরু করেছে সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। এটা সরকারের বিষয় না। তবে উসকানিমূলক স্লোগান দেয়াও এক প্রকার নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন।’
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের প্রচারণার কাভারেজ দেয়া হলেও বিএনপি প্রার্থীদের প্রচারণার কোনো খবর না আসার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব সংস্থার সবগুলোই স্বাধীনভাবে কাজ করে। এগুলো মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় না। মন্ত্রণালয় শুধু দেখভাল করে। সেখানে যদি তারা (বিএনপি) প্রচারণার বিষয়গুলো উপস্থাপন করে তাহলে নিশ্চয়ই সংস্থাগুলো এ (প্রচারের) ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে।’