সোমবার পৃথক পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এসব আদেশ দেয়।
মানিকগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আফরোজা খান রিতার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের ওপর ‘নো অর্ডার’ দিয়েছে আপিল বিভাগ। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
রিতার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ এনে আদালতে রিট করে সোনালী ব্যাংক। ১২ ডিসেম্বর রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার মনোনয়নপত্র বৈধ করার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে বগুড়া-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আব্দুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৭ আসনের বিএনপি প্রার্থী সরকার বাদল ও ঢাকা-২০ আসনের বিএনপি প্রার্থী তমিজ উদ্দিন নির্বাচন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে তমিজ উদ্দিনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। তমিজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ইসি তাকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করে। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেনজীর আহমেদ।
আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত তালুকদার এবং সরকার বাদল উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে পৃথক রিট দায়ের করেন। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে কমিশন।
অন্যদিকে, ঢাকা-১ আসনের বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাকের মনোনয়ন বৈধ বলে দেয়া নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
ওই আসনের বিকল্প ধারা প্রার্থী জালাল উদ্দিনের করা রিট শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।