শনিবার বিকালে বরগুনার তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মানিত। আমাদের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।আর এসবের জন্য আমি চাই আপনারা আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখনই ক্ষমতায় এসেছি সব সময়ই চেয়েছি দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়ন, যেমনটা ইচ্ছা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।
তিনি বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে, তাদের সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন যাপনের জন্য আমি নিজেকে নিবেদিত করেছি। আমার একটাই লক্ষ্য, এদেশের মানুষের জীবযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটানো।
নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমি দোয়া চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। যাকেই নৌকা মার্কা দেয়া হবে, আপনারা তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।’
দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদকের কোনো স্থান নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জঙ্গিবাদ দমনে সক্ষম হয়েছি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দেব, যাতে খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং ছেলেমেয়েরা মাদকের দিকে না ঝুঁকে।’
এসময় মাদক প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় গুরুদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই তালতলী একটি ইউনিয়ন ছিল। আজকে সেই তালতলীকে আমরা উপজেলা করে দিয়েছি। আমি যখন প্রথমবার এখানে আসি মাত্র একটা পাকা দালান ছাড়া আর কিছু ছিল না। এখন এখানে সবই আছে। ইনশাল্লাহ আরও হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তাই উন্নয়নেও বিশ্বাস করে না। এতিমের সম্পদ চুরি করার অভিযোগে খালেদা জিয়া আজ জেলে। তার ছেলে তারেক জিয়া মানি লন্ডারিং ও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় আজ সাজাপ্রাপ্ত।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে তালতলীতে ২১টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।