শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান তিনি ।
জিএম কাদের বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে তাকে (এরশাদ) ডায়ালাইসিস (হেমো ডায়া ফিল্টারেশন এবং হেমো পারফিউশন) দেয়া হচ্ছে। এতে তার শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পানি বের করা হচ্ছে এবং ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, কৃত্রিমভাবে এরশাদের শ্বাস প্রশ্বাস চলেছে। তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে কৃত্রিম সাপোর্ট খুলে ফেলা হবে। চিকিৎসকরা আশাবাদী, অত্যাধুনিক চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
এরশাদের ছোট ভাই কাদের জানান, সিএমএইচ এর চিকিৎসকরা তার (এরশাদ) শারীরিক পরীক্ষা-নিরিক্ষার সকল রিপোর্ট সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ওখানকার বিশেষজ্ঞরা সিঙ্গাপুরে পাঠানোর বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছেন।
শুক্রবার দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এরশাদের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া প্রার্থনা করায় পারিবারিক এবং জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
গতকাল এরশাদের চিকিৎসায় রক্ত প্রয়োজন এমন সংবাদে হাজারো মানুষ সিএমএইচে উপস্থিত হয়েছেন। তারা চিকিৎসকদের কাছে তাদের নাম-ঠিকানা দিয়ে এসেছেন। তাকে যারা রক্ত দিয়েছেন এবং রক্ত দিতে চেয়েছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান জিএম কাদের।
গত ২৬ জুন শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ৮৯ বছর বয়সী সাবেক সামরিক শাসক এরশাদকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় বলে তার উপ প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী ইউএনবিকে জানান।