দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখা ও দুর্নীতি দূর করার যে ইশতেহার ঐক্যফ্রন্ট দিয়েছে তা জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
সোমবার ধানমণ্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে একজন পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না এবং সামরিক বাহিনী ও পুলিশ ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা থাকবে না, এমন ১৪টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোমবার আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখা ও বর্তমান সরকারের অধীনে যেসব দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘তারা যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরী ২৩ জনেরও বেশি প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার পথ তৈরি করে দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীরা ড. কামালের জোটের আশ্রয়ে রয়েছে। সুতরাং তারা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রাখার কথা বলেন তখন তা শুধুমাত্র তামাশাই নয়, অবিশ্বাস্যও বটে।’
তিনি বলেন, ‘কারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় দিয়েছে ও মনোনয়ন দিয়েছে? তারা কীভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? সুতরাং এটা প্রতারণা ছাড়া কিছুই না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, ভোটারদের টানতে এমন বিভ্রান্তিকর ইশতেহার দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট জাতিকে ভুল পথে পরিচালিত করছে।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘তারেক জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন সে (তারেক) দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাপক অর্থ উপার্জন করেছে। এমনকি খালেদা জিয়াও দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত। তারা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বে তা দেশের মানুষ কখনও বিশ্বাস করবে না।’
নির্বাচন পূর্ববর্তী সহিংসতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের ওপর হামলা ও নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে ভাঙচুরের সাথে আমাদের কর্মীরা জড়িত নয়। মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করছে। কিন্তু তারা নির্বাচন বানচাল করতে দায়ভার আমাদের কাঁধে চাপানোর চেষ্টা করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরেক যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।