নোয়াখালী-৫ আসনে (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের অভিযোগ, সকালে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কবিরহাটে তার পথসভার প্রস্তুতি চলছিল। বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসার সময় স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়।
এতে তার অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হন বলে দাবি করেন মওদুদ। আহতদেরকে স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. ইসমাইলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর ও তাকে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের ওপর হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে মো. ইসমাই, আবদুল জলিল, শরীফ ও শাহীনসহ পাঁচজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জানান, কবিরহাটের জিরো পয়েন্টে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী সভা চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে হামলা চালায়। ভাঙচুর চালিয়ে সভা ভণ্ডুল করে নেতা-কর্মীদের লাঠিসোটা দিয়ে মারধর শুরু করে। এতে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরীসহ কমপক্ষে ২০ নেতা-কর্মী আহত হন। সভাস্থলে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়া হয় এবং মারধর করা হয়। আহতদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কবিরহাট থানার ওসি মির্জা হাসান জানান, বেলা ১১টায় করিহাট জিরো পয়েন্টের উত্তরে বিএনপি এবং পশ্চিমে যুবলীগ পথসভা আহ্বান করে। এ সময় দুপক্ষের কর্মীরা মিছিল নিয়ে বাজারে আসলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি।